মঞ্জুরে খোদা টরিক : রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন সর্বত্রই হচ্ছে। আমেরিকাও তার বাইরে নয়। সেটা গত নির্বাচনে ট্রাম্পের পরাজয়ের পর তার সমর্থকরা যা করেছে তা নিশ্চয়ই সবার মনে আছে। তাতে কি ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমেছে? এটা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকলেও মাঠের হাওয়া তা বলে না। শুধু আমেরিকা নয়, সারা দুনিয়াতেই উগ্রজাতিয়তাবাদ, স্বেতাঙ্গবাদের প্রভাব বেড়েছে। এই অবস্থাই ট্রাম্পের আলাপকে মাঠে রেখেছে এবং আগামী বছর সে দেশের নির্বাচনে তার প্রভাব দেখা যাবে। 

প্রশ্ন উঠেছে পর্নো তারকাকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পের সাজা হলে তিনি কি নির্বাচন করতে পারবেন? যুক্তরাষ্ট্রের আইনের তারা সাজা হলেও তিনি নির্বাচন করতে পারবেন। তারমানে নির্বাচন করতে কোনো সমস্যা নেই। তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার প্রধান কারণ তার জনপ্রিয়তায় ধস নামানো ও তাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়া, কিন্তু নাছোরবান্দা ট্রাম্প বলেছেন, তিনি নির্বাচন করবেনই। তাহলে ক্ষমতাসীন বাইডেন বাহিনীর ছক এখানে কাজ করছে না। রবং হিতে বিপরীতি হবার পথ তৈরি হচ্ছে। 

ট্রাম্পের বিরুদ্ধের এই মামলা তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। নির্বাচনের যে প্রাথমিক তহবিল সংগ্রহের কাজ চলছে, তাতে দেখা যাচ্ছে তার জনপ্রিয়তা না কমে বরং বেড়েছে। মামলা পরবর্তী তাৎক্ষণিক বিভিন্ন জরিপে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমেনি। এমনকি তার নিজ দলের প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে তিনি কিছুটা এগিয়ে আছেন। 

আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও অর্থনৈতিক শক্তির নানা মাত্রিক সমীকরণ ও মেরুকরণ চলছে। আগামী বছর মার্কিন নির্বাচন সে কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। ট্রাম্প বলেছেন তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তাৎক্ষণিক ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষমতা রাখেন। সময়ই বলবে তার এই বক্তব্য কতটা সত্য বা অসাড়। তবে এ কথা বলা যায় তিনিই আমেরিকার সর্বশেষ রাষ্ট্রপতি যিনি বিশ্বে কোনো যুদ্ধ সংগঠিত করেননি। লেখক ও গবেষক